১০ বেস্ট সোশ্যাল
মিডিয়া
বিজনেস চেকলিস্ট
বর্তমানে অনলাইনের যুগে, ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সব কিছু করা সম্ভব। পড়াশুনা থেকে শুরু করে কেনা কাটা সব কিছু এখন এই পদ্ধতিতে করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় অনেকই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবসায় শুরু করেছে। কিন্তুু অনেকে সঠিক গাইড লাইন না পাওয়ার কারনে কি ভাবে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবে বুঝতে পারছে না। অতিদ্রুতই অফলাইন এখন অনলাইনে পরিবর্তিত হচ্ছে।
কিন্তুুু অনেকই জানে না কিভাবে এর শুরু করবে।
তাদের জন্য আজ এই টিপস শেয়ার করছি।
এই টিপস গুলো ধাপে ধাপে ফলো করলে আশা করি আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজনেস প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন….
চলুন শুরু করা যাক।
Clearly define your goals. (আপনার লক্ষ্য নির্ধারন করুন) :
কোন ব্যবসা শুরু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে লক্ষ্য নির্ধারন করা। লক্ষ্য ঠিক না করে কোন কিছুই শুরু করা উচিৎ নয়। কেননা, অনেকেই আছে যারা অন্যের কাজ করা বা ভালো আয় করছে দেখে নিজে ও সেটা শুরু করে দেয়, কিন্তু তারা ভাবে না নিজে সেটা পারবে কিনা? অন্যের দেখাদেখি কাজ শুরু করলে সে কাজ কখনোই সফল হয় না। বরং আপনি নিজে কোন কাজ টা ভালো পারেন, কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে সেটা খুঁজে বের করুন। তার পর সেটার ভিত্তিতে নিজের ব্যবসার লক্ষ্য নির্ধারন করুন।
Identify your target audience.(টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা ):
যে -কোন ব্যবসার পরবর্তী ধাপ হল অডিয়েন্স চিহ্নিত করা। আপনি কি ধারণের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন বা শুরু করেছেন, সেই ব্যবসার টার্গেট অডিয়েন্স কারা, সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। যে-কোন ব্যবসা শুরু করা হয়তো সহজ কিন্তুু সেটা সফল করা অনেক কঠিন। প্রতিটি ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে তাদের পণ্য / সেবা গুলো মানুষের কাছে পোঁছে দেওয়া, আর সেই জন্যই গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা।
আপনার পণ্যটি কোন ধারনের পণ্য , সেই পণ্যটি কোন বয়সের মানুষের জন্য বা পণ্যটি মেয়েদের জন্য নাকি ছেলেদের জন্য না উভয়দের জন্য প্রযোজ্য, সেই অনুযায়ী অডিয়েন্স বাছাই করতে হবে।
Select the best platform (বেস্ট প্লাটফর্ম সিলেক্টশনঃ
এর পরের ধাপ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অনলাইন বিজনেস করা জন্য অনেক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম রয়েছে। কিন্তুু সব প্লাটফর্ম গুলো কিন্তুু সব ধারনের ব্যবসা জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নিজেস্ব ফিচার এর জন্য অনেক পপুলার। এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে, আপনি কোন টাইপের ব্যবসা করবেন, আপনার পণ্য কোন ধারনের সেটা জন্য কি ছবি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নাকি ভিডিও নাকি দুইটাই। এছাড়া আপনার অডিয়েন্স কোন প্লাটফর্ম বেশি থাকতে পারে সে টা বুঝে তারপর প্লাটফর্ম ঠিক করা উচিৎ।
Create an organized content strategy.(কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা) ঃ
আপনার ব্যবসায় লক্ষ্য, অডিয়েন্স, এমনি কি কোন প্লাটফর্মে আপনি ব্যবসা করবেন সেটা ঠিক করে ফেলেছেন। এখন এর পরবর্তী ধাপ হলো কন্টেন্ট। কন্টেন্ট হলো যে কোন বিসনেজের মূল হাতিয়ার। আপনার ব্যবসার জন্য সবসময় পরিপূর্ণ কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি থাকা প্রয়োজন।
Find Relevant hashtag.(প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ রিসার্চ) ঃ
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে না এমন ইউজার মনে হয় খুব কম আছে। যে কোন পোস্ট দিতে গেলে এখন আমরা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে থাকি। আপনি কি জানেন? এই হ্যাশ ট্যাগ আপনার বিজনেস জন্য ও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক ভাবে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে পারলে আপনার অডিয়েন্স কাছে অনেক সহজেই পোছে যেতে পারেন। তাই সবার উচিত নিজ নিজ ব্যবসা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ খুজে বের করা, এবং নিজের ব্যবসার হ্যাশট্যাগ তৈরি করা।
Research your target keywords (রিসার্চ টার্গেটেট কি- ওয়াডঃ
প্রতিটি বিজনেসে যেমন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনিই টার্গেটেট কি- ওয়াড রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ।
কি- ওয়াড রিসার্চ কি এই নিয়ে পরবর্তীতে একটা পোস্টে আলোচনা করবো।
Set a content Schedule (কন্টেন্ট সিডিউল সেট করা ঃ )
এবার আলোচনা করবো কন্টেন্ট সিডিউল কি সেটা নিয়ে। কন্টেন্ট সিডিউল হলো এমন এক ধারনের সিস্টেম যা মাধ্যমে আপনি অনলাইনে উপস্থিত না থাকলে ও আপনার কন্টেন্ট / পোস্ট অটোমেটিক ভাবে টাইম মত পোস্ট হয়ে যাবে৷।
অনেকে সময় আমরা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকি। আবার সেই একই টাইমে আমাদের পেজ পোস্ট করা টাও জরুরি। কেননা পেজকে একটিভ রাখতে হলে প্রতি নিয়তো পোস্ট করা দরকার। তাই এই সিডিউল এর মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্টের সম্পন্ন ডিটেইলস/ ক্যাপসন , ছবি/ ভিডিও লিখে রাখতে পারবেন, এমন কি আপনার পছন্দ মত টাইম ও সেট করে দিতে পারবেন।
যদি এই সিডিউল করা প্রোসেসিং না আপনাদের না জানা থাকা তাহলে আমাকে নক করতে পারেন আমার ফেসবুক পেজে।
Check your insights analytics. (সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনসাইট বিশ্লেষণ) ঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে ইনসাইট (insights) এর মাধ্যমে অনেক ধারনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে পেজে কত লাইক হলো, পেজটি কত মানুষের কাছে রিচ করছে, কত জন পেইজটিকে ফলো করছে ইত্যাদি আরো অনেক ধারনের তথ্য পাওয়া যায়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনসাইট বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা কেউ যদি আপনাদের পেজ ইনসাইট এনালাইসিস করাতে চান, আমাকে নক করতে পারেন , আমার ফেসবুক পেজে।
Update your social media advertising.(সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন আপডেট করা) :
সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড এডরান করা মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স কাছে পৌঁছানো সম্ভব। এই বিজ্ঞাপন সবসময় আপডেট রাখা উচিত। বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ দিনকে( ২৬ মার্চ, পয়লা বৈশাখ, মা দিবস,) টার্গেট করে এড রান করা যেতে পারে।
Connected your audience. (অডিয়েন্সের সাথে কানেক্টেশনঃ
অনেকই আছে যে এই ভুল টা করে থাকে৷ তারা কখন অডিয়েন্স কমেন্ট এর রিপ্লে করে না।
এই ভুলটা করা যাবে না, অডিয়েন্স সাথে কানেক্টেড থাকা টা অনেক জরুরি। অডিয়েন্স কি চায়, কোন টাইপের জিনিস পছন্দ করে সব কিছু জানার জন্য অডিয়েন্স সাথে কানেক্টেড থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন ঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন
পরিশেষে বলতে পারি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজনেস শুরু করার আগে উপরিউক্ত বর্ণিত ধাপগুলো ফলো করা উচিৎ। ধাপে ধাপে এই চেকলিস্ট টি ফলো করলে, যে কোন বিজনেস সফল ভাবে শুরু করা সম্ভব।