Year: 2022

১০ বেস্ট সোশ্যাল

মিডিয়া

বিজনেস চেকলিস্ট 

বর্তমানে  অনলাইনের যুগে, ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সব  কিছু করা সম্ভব।  পড়াশুনা থেকে শুরু করে কেনা কাটা সব কিছু এখন এই পদ্ধতিতে করা হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায়   অনেকই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবসায়  শুরু করেছে। কিন্তুু অনেকে সঠিক গাইড লাইন  না পাওয়ার কারনে কি ভাবে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করবে বুঝতে পারছে না। অতিদ্রুতই  অফলাইন এখন অনলাইনে পরিবর্তিত হচ্ছে।

কিন্তুুু অনেকই জানে না কিভাবে এর শুরু করবে।

তাদের জন্য আজ এই টিপস শেয়ার করছি।

এই টিপস গুলো  ধাপে ধাপে  ফলো করলে আশা করি  আপনারা  সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজনেস  প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারবেন….

চলুন শুরু করা যাক।

১০ বেস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় চেকলিস্ট. 10 Best social media Checklist 10 Best social media Checklist

 

 

Clearly define your  goals. (আপনার লক্ষ্য নির্ধারন করুন) :

কোন ব্যবসা শুরু করার প্রথম ধাপ হচ্ছে  লক্ষ্য নির্ধারন করা। লক্ষ্য ঠিক না করে কোন কিছুই শুরু করা উচিৎ নয়।  কেননা, অনেকেই  আছে যারা অন্যের কাজ করা বা ভালো আয় করছে দেখে নিজে  ও সেটা শুরু করে দেয়, কিন্তু  তারা ভাবে না  নিজে সেটা পারবে কিনা? অন্যের দেখাদেখি  কাজ শুরু  করলে সে কাজ  কখনোই সফল হয় না। বরং আপনি নিজে কোন কাজ টা ভালো পারেন,  কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে সেটা খুঁজে বের করুন।  তার পর সেটার ভিত্তিতে নিজের ব্যবসার লক্ষ্য নির্ধারন করুন।

 

 

Identify your target audience.(টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা ):

যে -কোন ব্যবসার পরবর্তী ধাপ হল অডিয়েন্স চিহ্নিত করা। আপনি কি ধারণের ব্যবসা করতে চাচ্ছেন বা শুরু করেছেন, সেই ব্যবসার টার্গেট অডিয়েন্স কারা, সেটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। যে-কোন ব্যবসা শুরু করা হয়তো সহজ কিন্তুু সেটা সফল করা অনেক কঠিন। প্রতিটি ব্যবসার উদ্দেশ্য থাকে  তাদের পণ্য / সেবা গুলো মানুষের কাছে পোঁছে দেওয়া, আর সেই জন্যই গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করা। 

আপনার পণ্যটি  কোন ধারনের পণ্য , সেই পণ্যটি কোন বয়সের মানুষের জন্য বা পণ্যটি মেয়েদের জন্য নাকি ছেলেদের জন্য  না উভয়দের জন্য প্রযোজ্য, সেই অনুযায়ী  অডিয়েন্স বাছাই করতে হবে। 

 

 

Select the best platform (বেস্ট প্লাটফর্ম সিলেক্টশনঃ 

 এর পরের ধাপ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  কেননা, অনলাইন বিজনেস করা জন্য  অনেক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্ম রয়েছে। কিন্তুু সব প্লাটফর্ম গুলো কিন্তুু সব ধারনের ব্যবসা জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায়  তার নিজেস্ব  ফিচার এর জন্য অনেক পপুলার।  এখন আপনাকে ঠিক করতে হবে,   আপনি কোন টাইপের ব্যবসা করবেন,  আপনার পণ্য কোন ধারনের  সেটা জন্য কি  ছবি বেশি গুরুত্বপূর্ণ,  নাকি ভিডিও  নাকি দুইটাই। এছাড়া আপনার অডিয়েন্স কোন প্লাটফর্ম বেশি থাকতে পারে সে টা বুঝে তারপর প্লাটফর্ম ঠিক করা উচিৎ। 

 

 

Create an organized content strategy.(কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা) ঃ

আপনার ব্যবসায় লক্ষ্য, অডিয়েন্স,  এমনি কি কোন প্লাটফর্মে  আপনি ব্যবসা করবেন সেটা  ঠিক করে ফেলেছেন। এখন এর পরবর্তী ধাপ হলো কন্টেন্ট।  কন্টেন্ট হলো যে কোন বিসনেজের মূল হাতিয়ার।  আপনার ব্যবসার জন্য সবসময় পরিপূর্ণ কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি থাকা প্রয়োজন।

 

Find Relevant hashtag.(প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ রিসার্চ) ঃ

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে না এমন  ইউজার মনে হয় খুব কম আছে।  যে কোন পোস্ট দিতে গেলে এখন আমরা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে থাকি।  আপনি কি জানেন?  এই হ্যাশ ট্যাগ আপনার বিজনেস জন্য ও অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  

সঠিক ভাবে হ্যাশট্যাগ  ব্যবহার করতে পারলে আপনার অডিয়েন্স কাছে অনেক  সহজেই পোছে যেতে পারেন।  তাই সবার উচিত  নিজ নিজ ব্যবসা অনুযায়ী  প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগ খুজে বের করা, এবং নিজের ব্যবসার হ্যাশট্যাগ তৈরি করা।  

 

Research your target keywords (রিসার্চ টার্গেটেট কি- ওয়াডঃ 

 প্রতিটি বিজনেসে যেমন  হ্যাশট্যাগ  ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনিই  টার্গেটেট কি- ওয়াড  রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ।

  কি- ওয়াড রিসার্চ কি এই নিয়ে  পরবর্তীতে একটা পোস্টে আলোচনা করবো। 

 

 

 Set a content Schedule (কন্টেন্ট সিডিউল সেট করা ঃ )

এবার আলোচনা করবো কন্টেন্ট সিডিউল কি সেটা নিয়ে।   কন্টেন্ট সিডিউল হলো এমন এক ধারনের সিস্টেম যা মাধ্যমে আপনি অনলাইনে উপস্থিত না থাকলে ও আপনার কন্টেন্ট / পোস্ট অটোমেটিক ভাবে টাইম মত পোস্ট হয়ে যাবে৷। 

অনেকে সময় আমরা  অন্য কাজে ব্যস্ত থাকি। আবার সেই একই টাইমে আমাদের পেজ পোস্ট করা টাও জরুরি। কেননা পেজকে একটিভ রাখতে হলে প্রতি নিয়তো পোস্ট করা দরকার। তাই  এই সিডিউল এর মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্টের সম্পন্ন ডিটেইলস/ ক্যাপসন , ছবি/ ভিডিও লিখে রাখতে পারবেন, এমন কি আপনার পছন্দ মত টাইম ও সেট করে দিতে পারবেন। 

 যদি এই সিডিউল করা প্রোসেসিং না আপনাদের না  জানা থাকা তাহলে আমাকে নক করতে পারেন আমার ফেসবুক পেজে। 

 

 

Check your insights  analytics. (সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনসাইট বিশ্লেষণ) ঃ 

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে   ইনসাইট (insights)  এর  মাধ্যমে অনেক ধারনের তথ্য পাওয়া যায়।  এর মাধ্যমে  পেজে কত লাইক হলো, পেজটি কত মানুষের কাছে রিচ করছে, কত জন পেইজটিকে ফলো করছে ইত্যাদি আরো অনেক ধারনের তথ্য পাওয়া যায়। তাই  সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনসাইট বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনারা কেউ যদি  আপনাদের পেজ ইনসাইট এনালাইসিস করাতে চান, আমাকে নক করতে পারেন , আমার ফেসবুক পেজে

 

 

Update your social media advertising.(সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন আপডেট করা) :

 সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইড এডরান করা মাধ্যমে  টার্গেট অডিয়েন্স কাছে পৌঁছানো সম্ভব।   এই বিজ্ঞাপন সবসময়  আপডেট রাখা উচিত। বিভিন্ন বিশেষ বিশেষ দিনকে( ২৬ মার্চ, পয়লা বৈশাখ,  মা দিবস,)   টার্গেট করে এড রান করা যেতে পারে।

 

 

Connected your audience. (অডিয়েন্সের সাথে কানেক্টেশনঃ 

 অনেকই আছে যে এই ভুল টা করে থাকে৷  তারা কখন  অডিয়েন্স কমেন্ট এর রিপ্লে করে না। 

এই ভুলটা করা যাবে না,  অডিয়েন্স সাথে কানেক্টেড থাকা টা অনেক জরুরি।  অডিয়েন্স কি চায়,  কোন টাইপের জিনিস পছন্দ করে সব কিছু  জানার জন্য  অডিয়েন্স সাথে কানেক্টেড থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।  

 

 

আরো পড়ুন ঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

 

 

পরিশেষে বলতে পারি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজনেস শুরু করার আগে উপরিউক্ত বর্ণিত ধাপগুলো ফলো করা উচিৎ।  ধাপে ধাপে এই চেকলিস্ট টি ফলো করলে, যে কোন বিজনেস সফল ভাবে শুরু করা সম্ভব। 

 

 

Elon Musk most famous 10+ quotes.

elon musk most famous quotes

 

Elon Musk :

Who is the Elon Musk?

Name: Elon Reeve Musk.

Born: June 28, 1971 (South Africa).

Citizenship: United States.

Net Worth: $79.4 Billion

Musk’s is an entrepreneur and business magnate. He’s the founder, CEO, and Chief Engineer of SpaceX; early-stage investor, CEO, and Product Architect at Tesla, Inc.; founder of The Boring Company; and founder and co-founder of Neuralink and OpenAI.

Almost everyone knows that Elon’s original success came from founding PayPal, which has become one of the most popular payment gateways.

More information on Elon Musk.

Elon Musk Quotes :

What Elon Musk said about motivation?

Elon Musk’s fascination with space and all things out of the ordinary is well known throughout the world. When asked what motivates him, SpaceX CEO Elon Musk replied, “The source of my inspiration is rather philosophical.”

Below you will find Elon Musk quotes that will inspire your success and happiness.

Elon musk most famous quotes1

1.“When something is important enough, you do it even if the odds are not in your favor.” – Elon Musk

Elon musk most famous quotes2

2. “Don’t confuse schooling with education. I didn’t go to Harvard but the people that work for me did“ -Elon Musk

Elon musk most famous quotes3

3.“Constantly think about how you could be doing things better. Keep questioning yourself” – Elon Musk

Elon musk most famous quotes4

4. “If you’re trying to create a company, it’s like baking a cake. You have to have all the ingredients in the right proportion” – Elon Musk

Elon musk most famous quotes4

   5. “I think it is possible for ordinary people to choose to be extraordinary”.          – Elon Musk 

“I think it is possible for ordinary people to choose to be extraordinary” - Elon Musk

6. “People work better when they know what the goal is and why. It is important that people look forward to coming to work in the morning and enjoy working”    – Elon Musk

Elon musk most famous quotes7

7. “Failure is an option here. If things are not failing, you are not innovating enough”  – Elon Musk

Elon musk most famous quotes8

8.“My motivation for all my companies has been to be involved in something that I thought would have a significant impact on the world” – Elon Musk

Elon musk most famous quotes9

9.“Persistence is very important. You should not give up unless you are forced to give up” – Elon Musk

Elon musk most famous quotes10

10. “I think it is possible for ordinary people to choose to be extraordinary.”           – Elon Musk

11. “I think we have a duty to maintain the light of consciousness to make sure it continues into the future.” –Elon Musk

12.  “You shouldn’t do things differently just because they’re different. They need to be… better.”-Elon Musk

13. “It’s very important to like the people you work with, otherwise life [and] your job is gonna be quite miserable.” – Elon Musk

14.  “When Henry Ford made cheap, reliable cars, people said, ‘Nah, what’s wrong with a horse?’ That was a huge bet he made, and it worked.”-Elon Musk

15.  “Starting and growing a business is as much about the innovation, drive, and determination of the people behind it as the product they sell.”-Elon Musk

 

16.  “My biggest mistake is probably weighing too much on someone’s talent and not someone’s personality. I think it matters whether someone has a good heart.”-Elon Musk

 

17. “I don’t spend my time pontificating about high-concept things; I spend my time solving engineering and manufacturing problems.”-Elon Musk

 

18. “I say something, and then it usually happens. Maybe not on schedule, but it usually happens.” – Elon Musk

Motivation :

“Be awesome and inspire confidence in others with your positive energy.”No matter where you go, always bring your own light with you.” “If you want the light to come into your life, you need to stand where it is shining.” Success is the accumulation of small wins repeated day after day after day after day.”

To like the post, leave a comment below.

Contact Form

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনা। 

 

 

online /digital markting

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়।  ডিজিটাল মানে আমাদের  কম বেশি সবাই জানি উচিৎ।   কোন রোবট বা মেশিন যখন  অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে চলে তখন সেটাকে ডিজিটাল বলে।

তবে মার্কেটিং আসলে কি! সহজ ভাষা,  মার্কেটিং হচ্ছে  আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচারনার মাধ্যমে সেটার উপর মানুষের আগ্রহ নিয়ে আসা। 

 

আর,  ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ,  ডিজিটাল  পদ্ধতি অর্থ্যৎ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন  ব্যবহার করে যখন পণ্য বা সেবা প্রচারনা করে ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

 

সময়ের সাথে সাথে ব্যবসা – বাণিজ্য সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।  সকল কিছু এখন ডিজিটাল পদ্ধতি করা হয়।  তাই বলাই যা যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এখন অনেক  গুরুত্বপূর্ণ৷ 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদঃ  মার্কেটিং মূলত সব কিছু সাথে সম্পর্কিত তাই এর নির্দিষ্ঠ কোন সংখ্যা বা প্রকারভেদে ভাগ করা যায় না।   তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে  হলে  যে বিষয় গুলোতে দক্ষ হতে হবে, বা ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশেষ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

 

 

  • কনটেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing).
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO).
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM) .
  • ইমেল মার্কেটিং ( Email Marketing).
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM).
  • ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing).
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliated Marketing) .
  • কস্ট পার অ্যাকশান/ অ্যাকুজিশন (  CPA).

 

১/ কনটেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)ঃ

 

একটা ওয়েবসাইট বা সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে থাকা সকল কিছু এক এক টা কনটেন্ট। আর এই কনটেন্ট গুলো যখন সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় প্রচার করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।

 

২/ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO)ঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে  যে  মাধ্যমে বা যার সাহায্যে  আপনার কনটেন্টকে সবার আগে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব  । SEO দুই প্রকারঃ
  • Offline SEO.
  • Online SEO.

 

৩/ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM) : সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে,  সোশ্যাল মিডিয়া সাইড গুলো( ফেসবুক,  টুইটার,  ইউটিউব) ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করা  এবং ভিজিটর বৃদ্ধি করা। বর্তমান মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে  বেশি সময় দেওয়ার কারনে মার্কেটিং এর জন্য  সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেরেছে। 

 

৪/ ইমেল মার্কেটিং ( Email Marketing)ঃ
ই-মেইল মার্কেটিং একটি অনলাইন মার্কেটিং অন্যতম মাধ্যম। অনেক কম সময়ে   ইমেইলের মাধ্যমে  নতুন পণ্য সম্পর্কে  কাস্টমারদের জানানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
৫/ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM)ঃ

 বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা বৃদ্ধির বিশেষ মাধ্যম হচ্ছে  সার্চ ইঞ্জিন মাকেটিং বা এসইএম। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে অসার জন্য  বিভিন্ন সার্চইঞ্জিনে ওয়েবসাইট মার্কেটিং করার পদ্ধতিকে সার্চইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। 
অর্থ্যাৎ,নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের প্রথম সারির দিকে এনে দিবে, সেটাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। 

 

৬/ ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing)ঃ ইউটিউব মার্কেটিং মাধ্যমে  খুব সহজেই কোন পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় তাও  সেটা  ভিডিও দেখার  মাধ্যমে। এর মাধ্যমে অনেক ধরনের লিংক ও যুক্ত করা যায়।

 

৭/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliated Marketing) ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যের পণ্যকে নিজে প্রচার -প্রচারণার মাধ্যমে ঐ মানুষের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করে দেওয়া এবং  পণ্য বিক্রয় মাধ্যমে কমিশন আয় করা। 

 

৮/ কস্ট পার অ্যাকশান/ অ্যাকুজিশন (  CPA)ঃ সি পি এ মার্কেটিং অনেক টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত। পার্থক্য হচ্ছে  এখানে সেল 

( Sale)  করতে হয় না শুধু কিছু ফর্ম পূরণ করতে হয়।  আর এই ভাবে  কমিশনের মাধ্যমে  আয় করা যায়। 

 

উপরিউক্ত মার্কেটিং এর সকল সেক্টরই ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত।  বর্তমানে অনলাইনের যুগে সব কিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।  তাই সকল ব্যবসা- ব্যাণিজ্যে এখন ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটিং করা বৃদ্ধির পেয়েছে।  কেননা এই পদ্ধতিতে গ্রাহকরা খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের নিকট পৌঁছে   যাচ্ছে।  তাই দিন দিন এর চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ??

 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোঃ

 

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহালে আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অবশ্যই থাকতে হবে। তাহালে যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই তারা কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে না? উত্তর হলো হ্যা অবশ্যই পারবে।

আপনার চেষ্টার কাছে সব কিছুই হার মেনে যাবে। আজকে আমি আপনাদের সাথে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় বা মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এই কথাটা শুনে আমাদের মধ্যে অনেকে হয়তো হাসাহাসি করবে। কিন্ত আসলে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু কাজ করা সম্ভব। মনে রাখবেন সব কাজ করা সম্ভব না তবে, কিছু সংখ্যক কাজ করা সম্ভব। কম্পিউটার দিয়ে যে সকল কাজ গুলো আপনি খুব সহজে করতে পারবেন, সে কাজ গুলো মোবাইলের মাধ্যমে করতে বেশ কিছু সময় লাগবে। কি রাজি আছেন তো? (ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো)

আজকে আমি আপনাকে বলবো মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন ৫ টি কাজ সম্পর্কে। যে কাজ গুলো আপনি প্রফেশনাল ভাবেও করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজ গুলো করতে পারবেন (Freelancing with mobile phone)ঃ👇

 

(১) কন্টেন্ট রাইটিং
(২) গ্রাফিক্স ডিজাইন
(৩) ওয়েব ডিজাইন
(৪) ব্লগিং
(৫) ইউটিউব

 

(১) কন্টেন্ট রাইটিং ঃ
আমরা প্রতিদিন মোবাইল দিয়ে বাংলা, ইংরেজিতে অনেক লেখালেখি করি। আপনি কি জানেন অনলাইনে লেখালিখি করে আপনি প্রতিমাসে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার অন্যতম হলো কন্টেন্ট রাইটিং। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করে দেশি বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে লেখা গুলো বিক্রিয় করতে পারবেন। তবে, হা এটার জন্য আপনাকে ভালো মানের কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে হবে।
মোবাইল দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করার জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস রয়েছে।
 
(২) গ্রাফিক্স ডিজাইন :
মোবাইল দিয়ে যদিও গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করা সম্ভব না। তবে, বর্তমানে এমন কিছু মোবাইল অ্যাপস পাওয়া যায় যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মোটামোটি লেভেলের ইমেজ, লোগো ডিজাইন করতে পারবেন। এই সকল অ্যাপস গুলো ব্যবহার করা খুবই সোজা। আপনি দুই একবার দেখলে পারবেন। এই সকল অ্যাপের মাধ্যমে ডিজাইন করা লোগো, ফটো গুলো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রিয় করতে পারবেন এবং টাকা আয় করতে পারবেন। মোবাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায় এমন কয়েকটি অ্যাপস এর নাম নিচে উল্লেখ করছি যথা-
Canva.
Adobe Photoshop.
Adobe Spark.
Adobe Illustrator Draw.
Autodesk Sketchbook Pro.
(৩) ওয়েব ডিজাইনঃ
ওয়েব ডিজাইন শেখার ব্যসিক হলো HTML এবং CSS. যা আপনি মোবাইল দিয়ে খুব সহজে শিখতে পারবেন। কিন্ত আপনি যখন এডভান্স লেভেলের ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার কথা চিন্তা করবেন তখন অবশ্যই আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে। এই দুইটি ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন শেখার দুইটি জনপ্রিয় অ্যাপস হলো
W3sSchools.
FreeCordCamp.
এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি শিখে প্র্যাক্টিস করার জন্য আলদা অ্যাপস রয়েছে। যেগুলো আপনি Google Play store থেকে সম্পর্ন ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
(৪) ব্লগিং :
মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো মোবাইলে ব্লগিং করা। ব্লগিং মানে আপনি নিজের বা অন্যদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট লিখবেন। যেটা মোবাইল দিয়ে ১০০% সম্ভব।
(৫) ইউটিউবঃ
আপনি সহজে মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে সেখানে ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন। আমাদের দেশে এমন অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে যারা প্রথমে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এর কাজ করা শুরু করেছে। আপনিও চাইলে শুরু করতে পারেন। আপনি এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও রেকাড, ভিডিও এডিটিং সব কিছু প্রফোসানাল ভাবে করতে পারবেন। আমি নিচে মোবাইলে সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার গুলোর নাম উল্লেখ করছি যথা-
PowerDirector
KineMaster
এই ৫ টি উপায় মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সম্ভব । এ ছাড়া ও আরো অনেক উপায় ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? বা ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো কোনো মাধ্যম আছে কিনা জানতে চাই। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলাম।।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন,ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্ব.
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

 

বর্তমান সময়ে অনলাইন বিজনেসের সংখ্যা দিনদিন  বেরেই চলেছে। তাই মার্কেটিং এর চাহিদা ও  বাড়ছে।  কেননা শুধু মাএ ব্যবসা বৃদ্ধি করলেই তো ব্যবসা সফল হয় না।  তার জন্য  মার্কেটিং বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। আর ব্যবসা টা যদি হয় অনলাইনে তাহলে  সেটা প্রচার প্রচারণা টাও ডিজিটাল ভিত্তিতে করাটা উওম।

কিন্তুু সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আমাদের দেশে তথা বাংলাদেশে এর চাহিদা এখন ও অনেক কম। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা- বানিজ্যের সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

 

অথচ অনেক ব্যবসায়ী এখন ও ডিজিটাল মার্কেটিংকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। যেমন আগে আমরা যে কোন পণ্য কেনা বেচার জন্য বাজারে যেতে হত। কিন্তুু এখন আমরা ঘরে বসে খুব সহজেই পণ্য ক্রয় করতে পারি।

 

আজ আমরা আলোচনা করবো কেন গুরুত্বপূর্ণ /প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং করাঃ

 

 

 

১/ টার্গেটিং ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক ঃ 

ভোক্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে ব্যবসায় তত উন্নতি। আর সেটা যদি হয় টার্গেটেট ক্রেতা তাহলে ব্যবসা সফলতার নিশ্চিত। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এই সু- সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। বিভিন্ন ডিজিটাল প্লার্টফর্মের ( ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব) মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতাদের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পছন্দ অপছন্দের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়। তাদের ভালো লাগা – খারাপ লাগাকে বিচার করে পণ্য কাস্টমাইজ করে নতুন পণ্য এনে দিলে ক্রেতা ও খুশি সথে আপনার ব্যবসার ও উন্নতি।

২/ অনলাইন নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ঃ

সময় ও প্রযুক্তি পরিবর্তের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা ও রুচি ও পরিবর্তন হচ্ছে। ক্রেতারা এখন কোন কিছু কেনার আগে সেই পণ্যটি যাচাই-বাছাই করতে চায়। পণ্যের সুযোগ সুবিধা কি? পণ্যের গুনাবলী কেমন? ঐ পণ্যের রিভিউ কেমন?এই সব কিছু ই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ( গুগল, ইউটিউব) এর মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যায়। একটি পণ্য কেনার আগেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই পণ্যের তথ্য ( ছবি, ভিডিও সুবিধা) পেয়ে থাকেন । সুতরাং ক্রেতা রা যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে আপনাকে ও আপনার ব্যবসার উন্নয়ন এর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ।

 

৩/ কম খরচে মার্কেটিং ঃ

অফলাইন বা গতানুগতিক মার্কেটিং থেকে অনলাইন তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব কম খরচে টার্গেটেট ক্রেতা পেয়ে যাচ্ছেন। একটি ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব ভিডিও মাধ্যমে খুব কম খরচে লক্ষাধিক টার্গেটেট ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সম্ভব যা গতানুগতিক মার্কেটিং এর প্রচুর ব্যয়বহুল। ফেসবুকে একটি অ্যাড রানের মাধ্যমেই মাএ কয়েক ডলার খরচ করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পণ্যের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পৌঁছানো সম্ভব।

 

৪/ক্রেতাদের রি-টার্গেটিং করা ঃ

রি-টার্গেটিং কথা টা অনেকেরই অজানা । যদি সহজ ভাবে বুঝাই সেটা হচ্ছে, ক্রেতা যদি এমন কোন পণ্য ক্রয় করে যার চাহিদা তার পরবর্তীতেও থাকবে তখন সেই পণ্য পুনরায় তার কাছে পৌঁছাতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই রিটার্গেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এর মাধ্যমে যা খুব সহজেই করা সম্ভব।

৫/ প্রতিযোগীদের সাথে তালমিলিয়ে চলাঃ

 

আপনার প্রতিযোগিরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং করেছে তাহলে আপনি কেন করবেন না? এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ শুধু মাএ আমাদের দেশে না বরং সমগ্র বিশ্বে করতে পারবেন। একজন ছোট ব্যবসায়ী যেমন তার পণ্য গুলো ফেসবুক পেজ মাধ্যমে প্রচার করছে, তেমনই বড় বড় কোম্পানি গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং জন্য একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিচ্ছে।

 

আরো পড়ুন → ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনা।

 

পরিশেষে আমরা এইটাই বুঝতে পেরেছি , নিজেদের ব্যবসাকে অনেকে বড় করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অপরিহার্য। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং না করেন তবে অনেক বড় অংশ ক্রেতা হারাবেন। যে সুযোগটি আপনার প্রতিযোগিরা গ্রহণ করে নিবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি আপনার ব্যবসার উন্নতি চান? নাকি আপনার প্রতিযোগীকে আপনার থেকে এগিয়ে দিতে চান?