digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনা। 

 

 

online /digital markting

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়।  ডিজিটাল মানে আমাদের  কম বেশি সবাই জানি উচিৎ।   কোন রোবট বা মেশিন যখন  অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে চলে তখন সেটাকে ডিজিটাল বলে।

তবে মার্কেটিং আসলে কি! সহজ ভাষা,  মার্কেটিং হচ্ছে  আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রচারনার মাধ্যমে সেটার উপর মানুষের আগ্রহ নিয়ে আসা। 

 

আর,  ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ,  ডিজিটাল  পদ্ধতি অর্থ্যৎ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন  ব্যবহার করে যখন পণ্য বা সেবা প্রচারনা করে ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

 

সময়ের সাথে সাথে ব্যবসা – বাণিজ্য সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।  সকল কিছু এখন ডিজিটাল পদ্ধতি করা হয়।  তাই বলাই যা যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এখন অনেক  গুরুত্বপূর্ণ৷ 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদঃ  মার্কেটিং মূলত সব কিছু সাথে সম্পর্কিত তাই এর নির্দিষ্ঠ কোন সংখ্যা বা প্রকারভেদে ভাগ করা যায় না।   তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে  হলে  যে বিষয় গুলোতে দক্ষ হতে হবে, বা ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশেষ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

 

 

  • কনটেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing).
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO).
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM) .
  • ইমেল মার্কেটিং ( Email Marketing).
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM).
  • ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing).
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliated Marketing) .
  • কস্ট পার অ্যাকশান/ অ্যাকুজিশন (  CPA).

 

১/ কনটেন্ট মার্কেটিং(Content Marketing)ঃ

 

একটা ওয়েবসাইট বা সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে থাকা সকল কিছু এক এক টা কনটেন্ট। আর এই কনটেন্ট গুলো যখন সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় প্রচার করাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।

 

২/ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( SEO)ঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে  যে  মাধ্যমে বা যার সাহায্যে  আপনার কনটেন্টকে সবার আগে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব  । SEO দুই প্রকারঃ
  • Offline SEO.
  • Online SEO.

 

৩/ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( SMM) : সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে,  সোশ্যাল মিডিয়া সাইড গুলো( ফেসবুক,  টুইটার,  ইউটিউব) ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করা  এবং ভিজিটর বৃদ্ধি করা। বর্তমান মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে  বেশি সময় দেওয়ার কারনে মার্কেটিং এর জন্য  সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেরেছে। 

 

৪/ ইমেল মার্কেটিং ( Email Marketing)ঃ
ই-মেইল মার্কেটিং একটি অনলাইন মার্কেটিং অন্যতম মাধ্যম। অনেক কম সময়ে   ইমেইলের মাধ্যমে  নতুন পণ্য সম্পর্কে  কাস্টমারদের জানানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
৫/ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ( SEM)ঃ

 বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেসে ব্যবসা বৃদ্ধির বিশেষ মাধ্যম হচ্ছে  সার্চ ইঞ্জিন মাকেটিং বা এসইএম। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে অসার জন্য  বিভিন্ন সার্চইঞ্জিনে ওয়েবসাইট মার্কেটিং করার পদ্ধতিকে সার্চইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। 
অর্থ্যাৎ,নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের বিনিময়ে গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের প্রথম সারির দিকে এনে দিবে, সেটাকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। 

 

৬/ ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing)ঃ ইউটিউব মার্কেটিং মাধ্যমে  খুব সহজেই কোন পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় তাও  সেটা  ভিডিও দেখার  মাধ্যমে। এর মাধ্যমে অনেক ধরনের লিংক ও যুক্ত করা যায়।

 

৭/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliated Marketing) ঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অন্যের পণ্যকে নিজে প্রচার -প্রচারণার মাধ্যমে ঐ মানুষের ওয়েবসাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি করে দেওয়া এবং  পণ্য বিক্রয় মাধ্যমে কমিশন আয় করা। 

 

৮/ কস্ট পার অ্যাকশান/ অ্যাকুজিশন (  CPA)ঃ সি পি এ মার্কেটিং অনেক টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত। পার্থক্য হচ্ছে  এখানে সেল 

( Sale)  করতে হয় না শুধু কিছু ফর্ম পূরণ করতে হয়।  আর এই ভাবে  কমিশনের মাধ্যমে  আয় করা যায়। 

 

উপরিউক্ত মার্কেটিং এর সকল সেক্টরই ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত।  বর্তমানে অনলাইনের যুগে সব কিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছে।  তাই সকল ব্যবসা- ব্যাণিজ্যে এখন ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে মার্কেটিং করা বৃদ্ধির পেয়েছে।  কেননা এই পদ্ধতিতে গ্রাহকরা খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের নিকট পৌঁছে   যাচ্ছে।  তাই দিন দিন এর চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?

 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন,ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্ব.
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

 

বর্তমান সময়ে অনলাইন বিজনেসের সংখ্যা দিনদিন  বেরেই চলেছে। তাই মার্কেটিং এর চাহিদা ও  বাড়ছে।  কেননা শুধু মাএ ব্যবসা বৃদ্ধি করলেই তো ব্যবসা সফল হয় না।  তার জন্য  মার্কেটিং বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। আর ব্যবসা টা যদি হয় অনলাইনে তাহলে  সেটা প্রচার প্রচারণা টাও ডিজিটাল ভিত্তিতে করাটা উওম।

কিন্তুু সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আমাদের দেশে তথা বাংলাদেশে এর চাহিদা এখন ও অনেক কম। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা- বানিজ্যের সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

 

অথচ অনেক ব্যবসায়ী এখন ও ডিজিটাল মার্কেটিংকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। যেমন আগে আমরা যে কোন পণ্য কেনা বেচার জন্য বাজারে যেতে হত। কিন্তুু এখন আমরা ঘরে বসে খুব সহজেই পণ্য ক্রয় করতে পারি।

 

আজ আমরা আলোচনা করবো কেন গুরুত্বপূর্ণ /প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং করাঃ

 

 

 

১/ টার্গেটিং ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক ঃ 

ভোক্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে ব্যবসায় তত উন্নতি। আর সেটা যদি হয় টার্গেটেট ক্রেতা তাহলে ব্যবসা সফলতার নিশ্চিত। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এই সু- সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। বিভিন্ন ডিজিটাল প্লার্টফর্মের ( ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব) মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতাদের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পছন্দ অপছন্দের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়। তাদের ভালো লাগা – খারাপ লাগাকে বিচার করে পণ্য কাস্টমাইজ করে নতুন পণ্য এনে দিলে ক্রেতা ও খুশি সথে আপনার ব্যবসার ও উন্নতি।

২/ অনলাইন নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ঃ

সময় ও প্রযুক্তি পরিবর্তের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা ও রুচি ও পরিবর্তন হচ্ছে। ক্রেতারা এখন কোন কিছু কেনার আগে সেই পণ্যটি যাচাই-বাছাই করতে চায়। পণ্যের সুযোগ সুবিধা কি? পণ্যের গুনাবলী কেমন? ঐ পণ্যের রিভিউ কেমন?এই সব কিছু ই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ( গুগল, ইউটিউব) এর মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যায়। একটি পণ্য কেনার আগেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই পণ্যের তথ্য ( ছবি, ভিডিও সুবিধা) পেয়ে থাকেন । সুতরাং ক্রেতা রা যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে আপনাকে ও আপনার ব্যবসার উন্নয়ন এর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ।

 

৩/ কম খরচে মার্কেটিং ঃ

অফলাইন বা গতানুগতিক মার্কেটিং থেকে অনলাইন তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব কম খরচে টার্গেটেট ক্রেতা পেয়ে যাচ্ছেন। একটি ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব ভিডিও মাধ্যমে খুব কম খরচে লক্ষাধিক টার্গেটেট ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সম্ভব যা গতানুগতিক মার্কেটিং এর প্রচুর ব্যয়বহুল। ফেসবুকে একটি অ্যাড রানের মাধ্যমেই মাএ কয়েক ডলার খরচ করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পণ্যের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পৌঁছানো সম্ভব।

 

৪/ক্রেতাদের রি-টার্গেটিং করা ঃ

রি-টার্গেটিং কথা টা অনেকেরই অজানা । যদি সহজ ভাবে বুঝাই সেটা হচ্ছে, ক্রেতা যদি এমন কোন পণ্য ক্রয় করে যার চাহিদা তার পরবর্তীতেও থাকবে তখন সেই পণ্য পুনরায় তার কাছে পৌঁছাতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই রিটার্গেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এর মাধ্যমে যা খুব সহজেই করা সম্ভব।

৫/ প্রতিযোগীদের সাথে তালমিলিয়ে চলাঃ

 

আপনার প্রতিযোগিরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং করেছে তাহলে আপনি কেন করবেন না? এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ শুধু মাএ আমাদের দেশে না বরং সমগ্র বিশ্বে করতে পারবেন। একজন ছোট ব্যবসায়ী যেমন তার পণ্য গুলো ফেসবুক পেজ মাধ্যমে প্রচার করছে, তেমনই বড় বড় কোম্পানি গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং জন্য একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিচ্ছে।

 

আরো পড়ুন → ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনা।

 

পরিশেষে আমরা এইটাই বুঝতে পেরেছি , নিজেদের ব্যবসাকে অনেকে বড় করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অপরিহার্য। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং না করেন তবে অনেক বড় অংশ ক্রেতা হারাবেন। যে সুযোগটি আপনার প্রতিযোগিরা গ্রহণ করে নিবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি আপনার ব্যবসার উন্নতি চান? নাকি আপনার প্রতিযোগীকে আপনার থেকে এগিয়ে দিতে চান?