ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
বর্তমান সময়ে অনলাইন বিজনেসের সংখ্যা দিনদিন বেরেই চলেছে। তাই মার্কেটিং এর চাহিদা ও বাড়ছে। কেননা শুধু মাএ ব্যবসা বৃদ্ধি করলেই তো ব্যবসা সফল হয় না। তার জন্য মার্কেটিং বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। আর ব্যবসা টা যদি হয় অনলাইনে তাহলে সেটা প্রচার প্রচারণা টাও ডিজিটাল ভিত্তিতে করাটা উওম।
কিন্তুু সারা বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আমাদের দেশে তথা বাংলাদেশে এর চাহিদা এখন ও অনেক কম। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা- বানিজ্যের সবকিছু প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
অথচ অনেক ব্যবসায়ী এখন ও ডিজিটাল মার্কেটিংকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। যেমন আগে আমরা যে কোন পণ্য কেনা বেচার জন্য বাজারে যেতে হত। কিন্তুু এখন আমরা ঘরে বসে খুব সহজেই পণ্য ক্রয় করতে পারি।
আজ আমরা আলোচনা করবো কেন গুরুত্বপূর্ণ /প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং করাঃ
১/ টার্গেটিং ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক ঃ
ভোক্তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে ব্যবসায় তত উন্নতি। আর সেটা যদি হয় টার্গেটেট ক্রেতা তাহলে ব্যবসা সফলতার নিশ্চিত। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এই সু- সম্পর্ক তৈরি করা সম্ভব। বিভিন্ন ডিজিটাল প্লার্টফর্মের ( ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব) মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতাদের সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পছন্দ অপছন্দের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা যায়। তাদের ভালো লাগা – খারাপ লাগাকে বিচার করে পণ্য কাস্টমাইজ করে নতুন পণ্য এনে দিলে ক্রেতা ও খুশি সথে আপনার ব্যবসার ও উন্নতি।
২/ অনলাইন নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ঃ
সময় ও প্রযুক্তি পরিবর্তের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা ও রুচি ও পরিবর্তন হচ্ছে। ক্রেতারা এখন কোন কিছু কেনার আগে সেই পণ্যটি যাচাই-বাছাই করতে চায়। পণ্যের সুযোগ সুবিধা কি? পণ্যের গুনাবলী কেমন? ঐ পণ্যের রিভিউ কেমন?এই সব কিছু ই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ( গুগল, ইউটিউব) এর মাধ্যমে খুব সহজেই জানা যায়। একটি পণ্য কেনার আগেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেই পণ্যের তথ্য ( ছবি, ভিডিও সুবিধা) পেয়ে থাকেন । সুতরাং ক্রেতা রা যেহেতু ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে আপনাকে ও আপনার ব্যবসার উন্নয়ন এর জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিৎ।
৩/ কম খরচে মার্কেটিং ঃ
অফলাইন বা গতানুগতিক মার্কেটিং থেকে অনলাইন তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব কম খরচে টার্গেটেট ক্রেতা পেয়ে যাচ্ছেন। একটি ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব ভিডিও মাধ্যমে খুব কম খরচে লক্ষাধিক টার্গেটেট ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সম্ভব যা গতানুগতিক মার্কেটিং এর প্রচুর ব্যয়বহুল। ফেসবুকে একটি অ্যাড রানের মাধ্যমেই মাএ কয়েক ডলার খরচ করে হাজার হাজার মানুষের কাছে পণ্যের সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পৌঁছানো সম্ভব।
৪/ক্রেতাদের রি-টার্গেটিং করা ঃ
রি-টার্গেটিং কথা টা অনেকেরই অজানা । যদি সহজ ভাবে বুঝাই সেটা হচ্ছে, ক্রেতা যদি এমন কোন পণ্য ক্রয় করে যার চাহিদা তার পরবর্তীতেও থাকবে তখন সেই পণ্য পুনরায় তার কাছে পৌঁছাতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই রিটার্গেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যমে এর মাধ্যমে যা খুব সহজেই করা সম্ভব।
৫/ প্রতিযোগীদের সাথে তালমিলিয়ে চলাঃ
আপনার প্রতিযোগিরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং করেছে তাহলে আপনি কেন করবেন না? এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ শুধু মাএ আমাদের দেশে না বরং সমগ্র বিশ্বে করতে পারবেন। একজন ছোট ব্যবসায়ী যেমন তার পণ্য গুলো ফেসবুক পেজ মাধ্যমে প্রচার করছে, তেমনই বড় বড় কোম্পানি গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং জন্য একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিচ্ছে।
আরো পড়ুন → ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ আলোচনা।
পরিশেষে আমরা এইটাই বুঝতে পেরেছি , নিজেদের ব্যবসাকে অনেকে বড় করে তুলতে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অপরিহার্য। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং না করেন তবে অনেক বড় অংশ ক্রেতা হারাবেন। যে সুযোগটি আপনার প্রতিযোগিরা গ্রহণ করে নিবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি আপনার ব্যবসার উন্নতি চান? নাকি আপনার প্রতিযোগীকে আপনার থেকে এগিয়ে দিতে চান?
[wpforms id=”121″ description=”true”]
An intriguing discussion is definitely worth comment. I do think that you should write more on this subject matter, it may not be a taboo matter but usually people dont discuss these issues. To the next! Many thanks!!